রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আহত ইউক্রেনীয় সেনাদের সমর্থন জানাতে শুক্রবার আকস্মিক ইউক্রেন সফর করেছেন প্রিন্স হ্যারি।
ইউক্রেনীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, হ্যারি শুক্রবার ভোরে ট্রেনে রাজধানী কিয়েভে পৌঁছন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্ল্যাটফরমে তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
পোস্টে বলা হয়, ‘স্যাসেক্সের ডিউক প্রিন্স হ্যারি রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ নিজ চোখে দেখতে ট্রেনে করে কিয়েভে পৌঁছেছেন।
’
হ্যারির সফরের সময়ই কিয়েভে পৌঁছান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার, যিনি গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর।
ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশনের একটি দলের সঙ্গে ইউক্রেনে ছিলেন হ্যারি। এই ফাউন্ডেশন যুদ্ধাহত সেনাদের সহায়তা করে।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে হ্যারি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ থামাতে না পারলেও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি।
’
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যারির ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিডেনকো ও প্রায় ২০০ ইউক্রেনীয় প্রবীণ সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আগামী সোমবার ৪১ বছরে পা দেবেন প্রিন্স হ্যারি। এর আগে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে তিনি প্রায় দুই বছর পর প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে গিয়ে তার বাবা রাজা চার্লস তৃতীয়র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
যদিও ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাওয়ার পর থেকেই বাকিংহাম প্যালেসের বাকি পরিবারের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তার।