কাতারে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় রোমাঞ্চিত নন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের হামলার পরিধি বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে। ওই হামলায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার চেষ্টা করেছিল।
হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
তবে আলোচনার টেবিলে থাকা কোনো নেতাকে তারা হত্যা করতে পারেনি। কাতার এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে বলেছে, এটি কাপুরুষোচিত ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কাতার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। এখানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি রয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী তাকে আক্রমণের কথা জানিয়েছিল এবং তিনি তার বিশেষ দূতকে কাতারকে অবহিত করার জন্য ‘তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ’ দিয়েছিলেন, কিন্তু ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে’।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি বুধবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেবেন। তবে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় তিনি খুবই অসন্তুষ্ট। কাতারে ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে তিনি ‘খুশি নন’।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এ নিয়ে খুশি নই। এটি ভালো পরিস্থিতি নয়। তবে বলব, আমরা জিম্মিদের ফিরে পেতে চাই, কিন্তু আজ যেভাবে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা মোটেও খুশি নই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে খুবই অসন্তুষ্ট, প্রতিটি দিক নিয়েই আমি খুব অসন্তুষ্ট।’
হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য দোহায় একটি আবাসিক ভবনে উপস্থিত হওয়ার পরই এটি লক্ষ্য করে একটি সিরিজ হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কাতারে হামলায় ১৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয়।
সূত্র : বিবিসি