এই সপ্তাহের শুরুতে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জাতিসংঘের কর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করার সন্দেহ রয়েছে—এক হুতি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এএফপিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, ‘জাতিসংঘ কর্মীদের মধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রগ্রাম ও ইউনিসেফের কর্মীরা, যারা শিশুদের জন্য সহায়তা ও ত্রাণ প্রদান করেন।
এ ছাড়া একটি ইয়েমেনি নিরাপত্তা সূত্র এফপিকে জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার সন্দেহে’ শনিবার আরো কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাবি, ৯ জন মন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার দুজন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। এটি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলাকালীন ইরান সমর্থিত হুতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
হুতি বিদ্রোহীরা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করেছে।
এদিকে এক দশক ধরে ইয়েমেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করা হুতির হাতে রবিবারের গ্রেপ্তার অভিযানের আগে থেকেই ২৩ জন জাতিসংঘ কর্মী আটক রয়েছে, কেউ কেউ ২০২১ সাল থেকে।
হুতি দাবি করেছে, ২০২৪ সালের জুনে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ‘একটি মার্কিন-ইসরায়েলি গুপ্তচর নেটওয়ার্ক’ মানবিক সংস্থার ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। জাতিসংঘ অবশ্য এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।