‘হেক্সার’ স্বপ্ন বহু বছর ধরেই দেখছে ব্রাজিল। তবে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ পাচ্ছে না সেলেসাওরা। সেই স্বপ্ন পূরণের সময় এবার এসেছে বলে জানিয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
সর্বশেষ ২০০২ সালে পঞ্চমবার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।
চিলির বিপক্ষে ম্যাচ এবং নেইমারের কথার জবাব দেওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমকে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের ২৪ বছর হয়ে গেছে। তবে এবার সময় এসেছে। দায়িত্বটা বিশাল। তবে একটা দেশের অনুপ্রেরণা বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
’
২০২৬ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে একটা গ্রুপকে একত্রিতও করেছেন বলে জানিয়েছেন আনচেলত্তি। তিনি বলেছেন, ‘দলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কমপক্ষে ৭০ জন খেলোয়াড় আছেন যারা সেলেসাও দলে জায়গা পাওয়ার মতো। বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে একটা গ্রুপকে একত্রিত করেছি।
২৬ জনের তালিকা দেওয়াটা হয়তো বড় ভুল হতে পারে। মান তো আছেই, তবে দলের সম্মিলিত শক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্যদিকে ঘরের মাঠ রিও ডি জেনিরোয় চিলিকে আটকাতে রণকৌশল সাজাতে যখন ব্যস্ত আনচেলত্তি তখন আবার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে। কেননা নিজের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেইমার। চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে দল ঘোষণার সময় আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, গত সপ্তাহে নেইমার ছোটখাটো চোটে পড়ায় আমরা চেয়েছি সেরা অবস্থায় থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে স্কোয়াড সাজাতে। ব্রাজিল কোচের এমন মন্তব্যের পর নেইমার নিজের বিষয়টা পরিস্কার করায় তাই দ্বিতীয়বার আনচেলত্তিকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আগামীকাল ভোরে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নেইমারকে নিয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘শারীরিক কোনো সমস্যা নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল। বেশ কিছু কারণে এই কৌশলগত সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে। নেইমারের প্রতিভা নিয়ে কেউই দ্বিমত করতে পারবে না। তবে তার এবং অন্যদেরও শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে নেইমার বলেছিলেন, ‘আমাকে বাদ দেওয়ার কারণ সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল। শারীরিক অবস্থার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কোচের সিদ্ধান্ত, আর আমি তা সম্মান করি। আমি এখন দলে নেই, বাইরে বসেই দলকে সমর্থন করব।’