বেসামরিক উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকারকে সমর্থন করে চীন এবং যে কোনো মতবিরোধ সমাধানে শক্তি প্রয়োগকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না তারা। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে এ কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
রাষ্ট্র সম্প্রচারকারী সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি বৈঠকে বলেন, ‘বৈষম্য বা মতবিরোধ সমাধানের জন্য শক্তি ব্যবহার সঠিক পথ নয়। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যোগাযোগ ও সংলাপই সঠিক পথ।
’
তিনি আরো বলেন, ‘চীন ইরানের পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যাবহারের অধিকারকে সম্মান করে এবং চায় ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর সমাধান এমনভাবে করা হোক যা সব পক্ষের যৌক্তিক উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়।’
চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। এদিকে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপটি ২০১৫ সালের চুক্তির আওতায় ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে সম্ভবত লঙ্ঘন নিয়ে সতর্কবার্তার পর নেওয়া হয়েছে।
ইরানের ঘনিষ্ঠ অংশীদার ও এর বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী চীন বলেছে, তারা ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। এ দেশগুলো সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এর আগে জুনে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের কারণে ইরান জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে। যুদ্ধ চলাকালীন, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংসের চেষ্টা চালায় ও যুক্তরাষ্ট্রও বোমাবর্ষণ পরিচালনা করে।
সাহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সোমবার সতর্ক করেছে, ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি সমর্থনকারী জাতিসংঘের প্রস্তাবের ‘ভ্রান্ত ব্যাখ্যা বা পুনর্ব্যাখ্যা’ করার যেকোনো চেষ্টা নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ণ করবে।