আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নারী রোগীরা পুরুষদের তুলনায় দেরিতে চিকিৎসা পাচ্ছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজে কোনো নারী স্বেচ্ছাসেবী বা কর্মী না থাকায় আহত নারীদের চিকিৎসা কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদের প্রধান হাসপাতালে ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারে করে কিছু নারীকে আনা হয়েছে। তবে হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা এক স্থানীয় সাংবাদিক। অত্যন্ত রক্ষণশীল এলাকা হওয়ায় কুনারে সাংস্কৃতিক কারণে নারীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসেন।
ধারণা করা হচ্ছে, অনেক নারী হয়তো পরিবারসহ ঘরে থেকে গেছেন অথবা দিনের আলো ফোটার পর তাদের হাসপাতালে আনা হবে।
২০২২ সালে পাকতিকা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও হাসপাতালে আহত নারী রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল দুই দিন পর। এবারও একই পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো তছনছ হয়ে গেছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে।
কেউ কেউ বলেছেন, তাদের গ্রাম এখন প্রায় সমান হয়ে গেছে। কোনো স্থাপনাই আর অক্ষত নেই। ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮০০ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। ওই ভূমিকম্পের পর রাতেই নানগারহার ও কুনার প্রদেশে অন্তত ১৩টি পরাঘাত অনুভূত হওয়ার কথা বিবিসিকে জানান স্থানীয় একজন বাসিন্দা।
সূত্র : বিবিসি