অসুস্থতা কাটিয়ে বাসায় ফিরেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শনিবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ডা. শফিকুর রহমান সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যারা তার খোঁজখবর নিয়েছেন ও সুস্থতা কামনায় দোয়া করেছেন। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে পূর্বঘোষিত এক সমাবেশে উপস্থিত হতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি তার পোস্টে লিখেন— আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্রামের জন্য বাসায় এসেছি।
আমার এ সাময়িক অসুস্থতার কারণে আজকের সমাবেশে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এটি আমার ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন।
অসুস্থ হওয়ার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশে অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন।
হাসপাতালে স্বল্প সময়ে থাকাকালীন বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদসহ নেতৃবৃন্দর একটি টিম, খেলাফত মজলিসের আমীর হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের এবং খেলাফত মজলিসের অন্যতম সিনিয়র নেতা জনাব আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের সিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ তারাও সরাসরি খোঁজখবর নিয়েছেন।
দেশ-বিদেশে অসংখ্য সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এমনকি বাংলাদেশীদের বাহিরেও অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মাননীয় উপদেষ্টাসহ আরো অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দোয়ার জন্য ঋণী। তাদের এ ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকলকে যেন দান করেন।
রাব্বুল আলামিন তার এ গোলামকে বাকি জিন্দেগি তার পছন্দমত মানবতার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন