কার্গো ডুবির ৯৬ ঘণ্টায়ও উদ্ধার তৎপরতা নেই

SHARE

ship sinkসুন্দরবনের ভোলা নদীতে চরে আটকে  ডুবে যাওয়া জাবালে নুর নামের কার্গো ডুবে যাওয়ার ৯৬ ঘণ্টা পার হলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্ধার তৎপরতা নেই।

গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের মরা ভোলা এলাকার ভোলা নদীর চরে আটকে জাহাজটি তলা ফেটে ডুবে যায়। জাহাজটি সার বোঝাই করে মংলা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। এতে পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আমির হুসাইন চৌধুরী  বৃহস্পতিবার বিকালে  মোবাইল ফোনে  নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, বন বিভাগের ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধারের মতো কোনো সরঞ্জামাদি নেই। এটি উদ্ধার করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বন বিভাগ কার্গোটি ডুবির ঘটনার দিন থেকে নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বিষটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তাগিত দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, “কার্গোটিতে থাকা এমওপি সার জমাটবেঁধে যাওয়ায় কাটিং ড্রেজার দিয়ে এগুলো অপসারণ করতে হবে । এজন্য বৃহস্পতিবার বিকালে কাটিং ড্রেজারের কর্যক্রম শুরু করেছে বন বিভাগ।”

খুলনা নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো: আবুল বাশার সুন্দরবনের ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, কার্গো উদ্ধারের বিষয়টি সম্পূর্ন মালিক পক্ষের বিষয়। মালিক পক্ষ পে করার শর্তে  বিআইডব্লিউটিএ-কে উদ্ধার করতে বললেই কেবল তারা উদ্ধার করবে। অথবা মালিকপক্ষের উদ্ধারের সামার্থ না থাকলে, সেক্ষেত্রে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার করবে।

নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান, কার্গোটি উদ্ধারের বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে তিনি একাধিকবার কথা বলেছেন। মালিকপক্ষ নিজেরা ডুবে যাওয়া কার্গোটি উদ্ধার করবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।

চারদিন একটি নৌ রুটে ডুবন্ত কার্গো থাকলে পলি পড়ে নৌরুটটি বন্ধ হবার আশংকা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভোলা নদীর এ পয়েন্টে  আপাতত এই ধরণের আশংকা নেই।”

এদিকে জাহাজের মধ্যে জমাটবাঁধা সার আত্মসাত করার জন্য স্থানীয় একটি চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে বলে গুজব উঠেছে।

ডুবে যাওয়া কার্গোটি দ্রুত উদ্ধার করা না গেলে চ্যানেলটিতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন চ্যানেল ব্যবহারকারীরা। এজন্য তারা দ্রুত কার্গোটি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন।

ডুবে যাওয়া কার্গোতে থাকা রাসায়নিক সার যাতে নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য একটি পাম্প মেশিন ভাড়া করে এনেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগ। তবে তারা কাজ শুরু করতে পারেনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “ডুবে যাওয়া কার্গোর সার অপসারণের জন্য একটি পাম্প মেশিন ভাড়ায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঘটনাস্থলে পৌছলেও পাইপ স্বল্পতার কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি। এ ধরনের কার্গো উত্তোলনের সরঞ্জামাদি আমাদের কাছে নেই। এটি উদ্ধার করতে বিআইডব্লিউটিএ’র সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দ্রুত এটি অপসারণ করা না গেলে চ্যানেলটিতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া আশংকা করেছেন তিনিও।