আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ। কেননা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সর্বশেষ দেখায় কলম্বিয়ার কাাছে তাদের মাঠে ২-১ গোলেই হেরে এসেছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই প্রতিশোধ নিতে ঘরের মাঠ এস্তাদিও মনুমেন্তালে খেলতে নেমে এখন পর্যন্ত বিপদেই আছে আর্জেন্টিনা। কেননা ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে বিরতিতে গেছে আর্জেন্টিনা।
কলম্বিয়ার হয়ে গোলটি করেছেন লুইস দিয়াজ।
অথচ, ম্যাচ শুরু হলে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটা আর্জেন্টিনাই পেয়েছিল। সেটিই দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে চতুর্থ মিনিটেই সতীর্থ থিয়াগো আলমাদার সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের মধ্যে ঢুকলেও তার নেওয়া ডান পায়ের শটটি পোস্টের অনেক দূর দিয়ে যায়।
১৪ মিনিটে কাউন্টার আক্রমণ থেকে একক প্রচেষ্টায় কলম্বিয়াকে লিড এনে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন লুইস দিয়াজ। তবে এগিয়ে যাওয়া আর হয়নি। বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া তার শট বিশ্বস্ত হাতে ধরে ফেলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
দুই মিনিট পরেই গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া।
এস্তাদিও মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের আর্জেন্টিনার দর্শক একদম চুপ করে দেওয়ার। কিন্তু ডেইভার মাচাদো যে সুযোগটা মিস করলেন তার কোনো ব্যাখ্যাই যেন হয় না। বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটটি নিলেন বারের বেশ ওপর দিয়ে। অথচ, হামেস রদ্রিগেজের অবিশ্বাস্য পাসটির শটটি যদি জালে রাখতে পারতেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতো।
২২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনাও।
তবে ডি বক্সের বাইরে থেকে হুলিয়ান আলভারাজের নেওয়া বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটটা দারুণ ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে প্রতিহত করেন কলম্বিয়ার কেভিন মিয়ার। আর্জেন্টিনার আক্রমণের দুই মিনিট পরেই কাউন্টার আক্রমণে ঠিকই মেসিদেরসহ তাদের দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন দিয়াজ।
বাঁ প্রান্তের প্রায় মাঝ মাঠে সতীর্থ কেভিন কাসতানোর পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় দৌড়ে আর্জেন্টিনার তিন -চার খেলোয়াড়কে ধোঁকা দিয়ে মার্তিনেসকেও ফাঁকি দেন দিয়াজ। তার বল জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে ভাসেন কলম্বিয়ার সমর্থকরা। ৩০ মিনিটে অবশ্য গোল প্রায় শোধই দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে আলভারেজের বল জালে জড়ানোর আগেই অফসাইড ছিলেন মেসি। পরে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও সমতায় ফেরার অপেক্ষা নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা