দ্রুতই পূর্বাচলে বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে : রিজওয়ানা

SHARE

পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজধানীর পূর্বাচলে কিছু এলাকায় বনের সতেজতা রয়েছে, এ বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ জরুরি এবং দ্রুতই এটা করা হবে।

তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ভুল বনায়ন নীতি, নগরায়ণ, শিল্পায়ন—এসব কিছুর কারণে মূলত এখানে শালবনটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। রাজউকের পূর্বাচল দ্বিতীয় ফেজের ভেতরে রাজউক এ বনটিকে ঢুকিয়ে ফেলেছিল কিন্তু আমরা আইনি লড়াই করে ১৪৪ একরের মতো এই বনটুকুকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি।

আজ মঙ্গলবার পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটা ফরেস্ট হতে পারে, যেটা ঢাকাবাসী মনে করবে যে এটা তাদের কাছাকাছি আছে, তারা এসে এ বন পরিদর্শন করবে।’

‘এই এলাকার যে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, এটা একটা গড় এলাকা’ উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এখানে যেটুকু ফাঁকা জায়গা আছে, সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে যেন শালবনটা ফেরত আসে সে জন্য কাজ করা হবে। এ ছাড়া এখানে ফাঁকা জায়গাটা যেন বেদখল হতে না পারে সে জন্য প্রাকৃতিক আবহে কিছু শালগাছের চারা ফাঁকা জায়গাগুলোতে রোপণ করা হবে।
আর শালের যে কূল আছে সেখান থেকে যেন আপনাআপনিই বনটা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, এই এলাকাটা আগে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বন হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল। নতুন করে এখন এটাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। বনের জায়গায় প্রথাগত বনবাসী না হলে অন্য কারো থাকার কোনো সুযোগ নেই।
ফলে এ বনের জায়গার মধ্যে যারা অবৈধ দখলদার আছে তাদের দ্রুতই বনের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সামাজিক বন বিভাগ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তারসহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।