রাজধানীর গাবতলী হাটে কোরবানির পশুর বাজার পরিদর্শনে এসে বড় গরুর চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “আগে দুর্নীতির টাকায় পকেট ভরা থাকত, এখন আর সেটা নেই। তাই বড় গরু কিনতে পারছে না অনেকে। তবে সৎভাবে আয় করা মানুষদের মধ্যেও বড় গরু কেনার সামর্থ্য রয়েছে। ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা এবার বেশি।”
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গাবতলী হাটে পশুর বাজার ও পরিবহন ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে এবং কেউ চাইলে নিরাপদে এসে পশু কিনতে পারেন।”
হাট পরিদর্শনের পাশাপাশি গাবতলী বাস টার্মিনালও ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে পরিবহন ভাড়া ও টিকিট সরবরাহ নিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে বাড়তি ভাড়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। কেউ যদি বাস সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
একই টিকিট একাধিকবার বিক্রির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মালিকপক্ষের প্রতিনিধি এখানে আছেন। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”
যানজট প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “কল্যাণপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত কিছুটা যানজট রয়েছে। বৃষ্টি ও গাড়ির চাপের কারণে সমস্যা হচ্ছে, তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যদি নিজেরা সচেতন থাকি, আইন মেনে চলি, তাহলে অনেক সমস্যাই সহজে সমাধান হয়ে যাবে। বিশেষ করে রাস্তা পারাপার ও যানবাহনে ওঠানামার সময় সতর্ক থাকতে হবে।”
ঈদকে সামনে রেখে ফাঁকা হতে থাকা রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশ্বস্ত করে বলেন, “মানুষ গ্রামে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বে সতর্কভাবে অবস্থান করছেন। সব বাহিনী সজাগ রয়েছে, আশা করি পরিস্থিতি ভালো থাকবে।”