সোমবার (১৯ মে) মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরের মতো ঈদের আগে আমরা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা করলাম। এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সেক্টরের অনেকেই ছিলেন। আপনারা জানেন যে আমাদের গরুর হাটগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব গরু বহনকারী গাড়ি আসবে সেসবের সামনে সুনির্দিষ্ট হাটের তথ্য থাকতে হবে। তারা যেখানে-সেখানে গরু নামাতে পারবে না। নামালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তায় গরু না নামিয়ে নির্ধারিত স্থানে নামাতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি হাটেই আনসার রাখতে হবে। কিছু হাটে ৭৫ জন করে আবার কিছু হাটে কম-বেশি হতে পারে। নিরাপত্তার পাশাপাশি গরুর হাটে চিকিৎসক থাকতে হবে। কোনোভাবেই যেন অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়। অনেক সময় গরুর আঘাতে মানুষ আহত হয়, এজন্য ফার্স্ট এইডেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
গরুর হাটের হাসিলের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছর শতকরা ৫ টাকা হাসিল নিলেও আগামী বছর ১০০ টাকায় ৪ টাকা নিতে হবে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ায় এ বছরই এটা করতে পারলাম না। এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।
আর ঈদের ৫ দিন আগে থেকে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের পর তিন দিন চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা কোনো অবস্থায় রাতে চলতে পারবে না।
চলমান অনেকগুলো আন্দোলনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দাবি-দাওয়া তো থাকবেই। এজন্যই তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দাবি-দাওয়া থাকবে, পূরণও হবে।
তিনি যৌক্তিক দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেউ যেন অযৌক্তিক দাবি না করে। আর আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো, দাবির আন্দোলন যাতে নিজস্ব কমপ্লেক্সের মধ্যে হয়। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি যেন না হয়।