জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ফোরামের আহ্বায়ক শাবান মাহমুদ বলেছেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে যোগ্য ও পেশাদার সাংবাদিকদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ উন্মুক্ত করা না হলে আগামী ৭ জুন প্রেসক্লাব চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় প্রেসক্লাব সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ভূইয়া বলেন, ‘প্রেসক্লাব পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন। কিন্তু আমরা দেখছি সংগঠনের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ না করে একটি বিশেষ মহলের স্বার্থ হাসিলে তৎপর। যোগ্য পেশাদার সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে জায়গা পায় না। অথচ একটি রাজনৈতিক গ্রুপের আড্ডার আখড়ায় পরিণত হয়েছে এ প্রেসক্লাব। আমরা দেখছি দুটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।’
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যপদ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি টালবাহানা করছে তা চলতে দেয়া হবে না। প্রেসক্লাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপেশাদার সাংবাদিক, সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব হবে আধুনিক ডিজিটাল সাংবাদিকদের জায়গা।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের অনেক সদস্য আছে তারা পেশাদার সাংবাদিক নয়। কিন্তু পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদ দেয়া হচ্ছে না। অনেক যোগ্য পেশাদার সাংবাদিকরা এখানে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের বসারও জায়গা হয় না। প্রেসক্লাবের সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা থাকার পরও প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটি নতুন সদস্যপদ দিচ্ছে না। তারা প্রেসক্লাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সদস্যপদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। পেশাদার সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে এসে জায়গা পায় না। এটা সাংবাদিকদের জন্য কলঙ্ক।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘কবি শামসুর রহমান দৈনিক বাংলার সম্পাদক হওয়ার পরেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ নিয়ে মরতে পারেন নি।’
এসময় তিনি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘অচিরেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য প্রেসক্লাবের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটিকে সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।’
একইসঙ্গে প্রেসক্লাবের সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিকদের রাস্তায় না দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসে বসার আহ্বানও জানান তিনি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদের নেতৃত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওমর ফরুক চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা সদস্য মইনুর আলম, সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য, রফিকুল্লাহ রফিক, দৈনিক সূর্যোদয়ের নির্বাহী সম্পাদক ইমরান আমীন, সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।