শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। অন্যদিকে ৩ উইকেট প্রয়োজন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এমন সমীকরণে দুই ব্যাটার শুভম দুবে ও জফরা আর্চারের বিপক্ষে বল হাতে নেন বৈভব অরোরা।
প্রথম দুই বলে ৩ রান দিয়ে ম্যাচটা আরও ভালোভাবে নিজের পক্ষে নেন বৈভব।
তবে রোমাঞ্চের বাকিটা ছিল শেষ চার বলে। শেষ বলের আগে ৬, ৪, ৬ হাঁকিয়ে ম্যাচটা ছিনিয়েই নিয়েছিলেন দুবে। কিন্তু ১ বলে ৩ রানের সমীকরণটা আর মেলাতে পারলেন না রাজস্থানের বাঁহাতি ব্যাটার। বৈভবের করা শেষ বলটা স্ট্রেটে হাঁকিয়ে দুই রানের জন্য ছুট দিলেন দুবে।
দ্বিতীয় রান সম্পন্ন করতে যখন নন স্ট্রাইকে আবার ফিরে আসলেন আর্চার ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। রিংকু সিংহের থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে উল্লাস শুরু করেন বোলার বৈভব। এতে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে শেষ চারে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাও টিকিয়েই রাখল কলকাতা। বর্তমানে ১১ ম্যাচ শেষে ১১ পয়েন্টে ছয়ে আছে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের দল।
১৬ পয়েন্টে শীর্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
ইডেন গার্ডেনসে অবশ্য রাজস্থান ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামার পর থেকেই ম্যাচের ভাগ্যে সুতায় দুলছিল। যদিও ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই কাঁপছিল রাজস্থান। তবে অধিনায়ক রিয়ান পরাগ ঠিকই বিপর্যস্ত নৌকার হাল ধরেছিলেন। এমন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলছিলেন যে শেষ পর্যন্ত থাকলে ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই বের হয়ে আসবে।
কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে দলের রেকর্ড ৯২ রানের জুটি গড়তে সহায়তা করা শিমরন হেটমায়ার (২৯) আউট হওয়ার পর মোড় যায় ঘুরে।
পরে ধীরে ধীরে ম্যাচটাও ফসকে যেতে থাকে। নতুন ব্যাটার দুবে সে সময় রানের চাকা সচল রাখতে না পারায় চাপ বেড়ে যায় পরাগের। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এতে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি পাওয়ার সুযোগও মিস হয় তার। ব্যক্তিগত ৯৫ রানের সময় হরষিত রানাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে বৈভবের হাতে তালুবন্দি হন রাজস্থানের অধিনায়ক। ৪৫ বলে ৯৫ ইনিংস খেলার পথে টানা ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকান। সব মিলিয়ে ইনিংসটি সাজান ৮ ছক্কা ও ৬ চারে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে আন্দ্রে রাসেলের তাণ্ডবে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় কলকাতা। ২২৮.০০ স্ট্রাইকরেটে ঘরের মাঠে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার। ইনিংসটিতে হাঁকান ৪ চার ও ৬ ছক্কা। বড় সংগ্রহে অবদান রেখেছেন ৪৪ রান করা অংকৃষ রঘুবংশিও। এ ছাড়া শেষ দিকে ৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রিংকু সিংহ।