ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) আগামী মৌসুম থেকে নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নীতি আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন।
শুধু জৈবিক নারীদেরই আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে একটি আইন পাশের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ।
এক বিবৃতিতে এফএ জানায়, ‘আইন, বিজ্ঞান বা স্থানীয় ফুটবলের জন্য এই নীতি পরিবর্তিত হলে আমরা এই বিষয়ে আবারো পর্যালোচনা করব।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমরা নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করছি।’
চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ডে প্রায় ২০ জন ট্রান্স নারী স্থানীয় লিগে খেলছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, ‘নারীদের খেলায় জৈবিক পার্থক্য রাখার পাশাপাশি আইন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নতুন নীতির সমালোচনা করে ফুটবল বনাম ট্রান্সফোবিয়া গ্রুপের নাটালি ওয়াশিংটন বলেন, ‘অনেক ট্রান্স খেলোয়াড় এখন পুরুষদের দলে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবে খেলতে চাইবেন না।
’
কিছু ট্রান্স অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানালেও বেশিরভাগ নারী অধিকার সংগঠন এফএ-এর এমন নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
নারী অধিকার সংগঠন ‘সেক্স ম্যাটার্স’ গ্রুপের ফিওনা ম্যাকানেনা এ সিদ্ধান্তকে দেরিতে হলেও সঠিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমানোর শর্ত প্রমাণ করে যে ট্রান্স নারীরা জৈবিক নারী নন।’
ইতিমধ্যে স্কটিশ এফএও একই নীতি গ্রহণ করেছে।