সঙ্গে তার মনোমালিন্যের খবর একাধিকবার শিরোনাম হয়েছিল। এবার ঠিকানা বদলে রাহুল এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের অংশ এবং রয়েছেন দুর্দান্ত ছন্দে।
তবে আইপিএল ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করে রাখতে বেছে নিলেন সাবেক দল লখনৌ সুপার জায়ান্টসকেই। আর সেই দৃশ্য হয়তো গ্যালারি থেকে কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে দেখছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা—চোখের সামনেই তার সাবেক অধিনায়ক নতুন করে লিখে চলেছেন ইতিহাস।
ঘরের মাঠে লখনৌ ২০ ওভারে ১৫৯ রান তোলে এইডেন মার্করাম এবং মিচেল মার্শের ওপর ভর করে। জবাবে দিল্লির হয়ে অভিষেক পোড়েল করেন ৫১ রান আর কেএল রাহুল খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। তাদের জোড়া ইনিংসে ভর করে দিল্লি ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়।
এই ম্যাচেই আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ৫ হাজার রানের মালিক হয়েছেন রাহুল। মাত্র ১৩০ ইনিংস খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি, যা আইপিএলে ইনিংস বিবেচনায় সর্বকালের দ্রুততম। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার, যিনি ৫০০০ রান করতে খেলেছিলেন ১৩৫ ইনিংস।
ইনিংস বিবেচনায় আইপিএলে দ্রুততম ৫০০০ রান:
কেএল রাহুল – ১৩০ ইনিংস
ডেভিড ওয়ার্নার – ১৩৫ ইনিংস
বিরাট কোহলি – ১৫৭ ইনিংস
এবি ডি ভিলিয়ার্স – ১৬১ ইনিংস
শুধু তাই নয়, রান তাড়ার সময় ব্যাটিং গড়েও রাহুল এখন আইপিএলের ইতিহাসে সবার ওপরে। আইপিএলে পরে ব্যাট করে অন্তত ১ হাজার রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র যার গড় ৫০-এর ওপরে।
আইপিএলে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ গড় (কমপক্ষে ১ হাজার রান):
কেএল রাহুল – ৫০.৮২
ডেভিড মিলার – ৪৯.১১
শন মার্শ – ৪২.৪০
বিরাট কোহলি – ৪০.৮৪
এই জয়ের ফলে দিল্লি পৌঁছে গেছে ১২ পয়েন্টে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গুজরাট টাইটানসও রয়েছে, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে গুজরাট রয়েছে শীর্ষে এবং দিল্লি অবস্থান করছে দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, ১০ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌ রয়েছে পঞ্চম স্থানে।