আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করেই ভেনিজুয়েলানদের তাড়ালেন ট্রাম্প

SHARE

আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে ভেনেজুয়েলান অপরাধচক্রের অভিযুক্ত সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফেডারেল আদালতের সাময়িক স্থগিতাদেশের পরও দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলানকে নিয়ে এল সালভাদরে পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করেই তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজের নজিরবিহীন এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, প্রেসিডেন্টের কাজে বাঁধা দেওয়ার অধিকার বিচার বিভাগের নেই।

বিচারক জেমস বোসবার্গি এই আদেশ দিয়েছিলেন। বহিঃশত্রু আইনের আওতায় এই আদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা মূলত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়। ভেনেজুয়েলান অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাহুয়ার দুই শতাধিক অভিযুক্ত সদস্যকে এই আদেশের পর বের করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। যারা অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং চুক্তি হত্যার সঙ্গে জড়িত ভেনেজুয়েলার একটি গ্যাং।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্কিন ভূখণ্ড থেকে বহিষ্কৃত বিদেশি সন্ত্রাসী বহনকারী উড়োজাহাজের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো অধিকার একজন বিচারকের নেই।’

তিনি বলেন, আদালতের কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং একজন প্রেসিডেন্ট কীভাবে বৈদেশিক বিষয় পরিচালনা করবেন তার ওপর সাধারণত ফেডারেল আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মার্কিন সাংবিধানিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতার প্রতি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানালেন ট্রাম্প।

স্বাধীনতাবাদী ক্যাটো ইনস্টিটিউটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং নাগরিক স্বাধীনতা বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক এডিংটন বলেন, ‘যাই বলুক না কেন, হোয়াইট হাউস প্রকাশ্য বিচারকের আদেশ অগ্রাহ্য করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এটি সীমাহীন এবং অবশ্যই নজিরবিহীন।’ এ ছাড়া মার্কিন সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য উপেক্ষা করার এমন নজির গৃহযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভেনেজুয়েলান এই অপরাধীদের এল সালভাদরে পৌঁছার খবর নিশ্চিত করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট বুকেলের প্রশংসা করেছেন।

তার প্রশাসন আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাকে এটা বলতে পারি যে, এরা খারাপ লোক ছিল।’

সূত্র : রয়টার্স