সরকারি ব্যয় কমাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামী মাসগুলোতে পশ্চিম ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকা থেকে প্রায় এক ডজন কনস্যুলেট গুটিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা।
ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে মানবাধিকার, শরণার্থী, বৈশ্বিক ন্যায়বিচার, নারী সংক্রান্ত বিষয় ও চোরাচালান প্রতিরোধের মতো যেসব বিশেষজ্ঞ ব্যুরো আছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সেগুলোকেও একীভূত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক সরকারি ব্যয় কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মীবহর ছোট করে আনার যে নজিরবিহীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে মার্কিনদের পাশাপাশি স্থানীয় কর্মীদেরও অন্তত ১০ শতাংশকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা হাতে নিতে বলা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, কেন্দ্রীয় সরকারের আমলাতন্ত্র তার ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাইয়ে নেবে। ‘বিশ্বস্ত ও কার্যকরভাবে’ পররাষ্ট্রনীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্গঠনে গত মাসে তিনি একটি নির্বাহী আদেশও জারি করেন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, একদিকে বিশ্বজুড়ে শত শত কোটি ডলারের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া ইউএসএআইডিকে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া, আবার অন্যদিকে মার্কিন কূটনীতিক বহর ছোট করে আনা; এই দুইয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বিপজ্জনক শূন্যতা সৃষ্টি হলে রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো সেটার সুযোগ নিতে পারে।