সৌদি আরব সফরে যাওয়ার কথা জানালেন জেলেনস্কি-ট্রাম্প

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দেড় মাসের মধ্যে সৌদি আরব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক এবং তারা খুব ভালো। তারা সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য আমেরিকান কম্পানিগুলেঅতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করবে।

সৌদি আরব ট্রাম্পের প্রথম সরকারি বিদেশ সফর কি না তা স্পষ্ট নয়, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন এটি হতে পারে। ট্রাম্প আরো বলেছেন, তিনি সৌদি আরবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কোনো এক সময়ে দেখা করার আশা করছেন। তবে আসন্ন সফরেই তিনি তা করবেন কি না তা বলেননি।

শপথ গ্রহণের পর বিদেশি নেতার মধ্যে ট্রাম্প প্রথম ফোনে কথা বলেছিলেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে।
সেই ফোনালাপের সময় এমবিএস ট্রাম্পকে বলেছিলেন, সৌদি আরব আগামী চার বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।

গত মাসে ট্রাম্প প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌদি আরবের ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) ইনস্টিটিউটে ভাষণ দেন এবং ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা আয়োজনের জন্য রাজ্যকে ধন্যবাদ জানান। সৌদি আরবকে ‘বিশেষ নেতাদের একটি বিশেষ স্থান’ বলে অভিহিত করেন।

এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিও বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার আগে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরব যাবেন।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘পরের সপ্তাহে সোমবার আমার সৌদি আরব সফর ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরপর আমার দল আমাদের আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সৌদি আরবে থাকবে। ইউক্রেন শান্তি চুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।’

মধ্যপ্রাচ্য শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘শান্তি চুক্তি এবং প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য একটি কাঠামো তৈরির’ জন্য মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে রিয়াদ বা জেদ্দায় একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া