পাকিস্তানে অবকাঠামো ও উন্নয়নমূলক বহু প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বেইজিং সফরকালে বৃহত্তর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাও চেয়েছেন চীনের কাছে।
জারদারি পাঁচ দিনের (৪-৮ ফেব্রুয়ারি) চীন সফরে গিয়ে এই সহযোগিতা চেয়েছেন। তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার ও অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।
সফরকালে পাকিস্তানি নেতারা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ঝাও লেজির সঙ্গেও প্রতিনিধি স্তরে বৈঠক করেছেন জারদারি।
এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তানি নেতৃত্ব ‘পুনরায় ব্যক্ত করেছেন যে, পাকিস্তানে অবস্থানরত চীনা কর্মকর্তা, প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করা পাকিস্তানি সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব কেননা চীন সব সময়ের কৌশলগত সহযোগী ও বিনিয়োগকারী দেশ।’
হাজার হাজার চীনের নাগরিক রয়েছেন পাকিস্তানে।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে একাধিক প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে তারা কর্মরত। তবে, ২০১৭ সাল থেকে পরিকল্পিত হামলায় কমপক্ষে ২১ জন চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে এবং পাকিস্তানে ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি চীনা বিনিয়োগ আসা বিশাল অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে।
এছাড়া ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর শহর করাচিতে হামলা চালিয়ে চীনের দুই নাগরিককে হত্যা করা হয়।
ওই বছরের মার্চ মাসে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এক যান বহরের ওপর হামলা চালিয়ে চীনের পাঁচজন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বর্ধিত সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে পাকিস্তান।