নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত এখনই নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, “১৯ তারিখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
শনিবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন হল ২৪ মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়।
সভায় একাধিক প্রার্থী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগ থেকে সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবি জানান। সিইসি এ নিয়ে কিছু না বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। এ সময় কয়েকজন প্রার্থী চিৎকার করে সেনাবাহিনীর বিষয়টি আবারও স্মরণ করিয়ে দিলে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সব ধরনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
কোনো কোনো প্রার্থী ভোট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করলে সিইসি বলেন, “বাক্স ছিনতাই এখন আর সম্ভব নয়। আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করব। বাক্স ছিনতাই দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে।”
সিইসি বলেন, “আমরা চাই, কোনো রকম টাকার ব্যবহার নির্বাচনে যেন না হয়। ‘চাঁদ রাত’ এর ঘটনা যেন ভোটের আগে না ঘটে সেটা নিশ্চিত করব।”
নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাঁদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন সিইসি। তিনি বলেন, “আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দলনিরপেক্ষভাবে আপনারা পালন করুন।”
এর আগে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও দাবি শোনেন সিইসি। সভায় বিএনপি-সমর্থিত উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদিকা সুলতানার সঞ্চালনায় সভায় দুই নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল ও জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।