বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ব্যাট-বলের লড়াইয়ের আগে জমে উঠছে কথার লড়াই। সম্প্রতি পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হারানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাকিব আল হাসান; এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।
আসছে প্রতিযোগিতায় নিজেদের এগিয়ে রাখতে জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন পাকিস্তানের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান; যেখানে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য ১৬ বছর আগের।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এক পাকিস্তান বাদ দিয়ে সব দলকেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই দলের কাছেই বারবার শুধু হারতে হয়েছে তাদের।
একবার করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হারই সঙ্গী হয় তাদের। তবে এবার আর হতাশা নয়, সিরিজ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন সাকিব।
গত সপ্তাহে আইপিএল খেলতে যাওয়ার আগে সাকিব পাকিস্তানের সঙ্গে এবারের সিরিজে নিজেদেরকেই ‘ফেভারিট’ বলে ঘোষণা করেন। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজ তো বাংলাদেশের জেতাই উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সাকিবের এই ফেভারিট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির সেরা অলরাউন্ডারকে একটু খোঁচাই দিলেন হাফিজ।
সাকিব যা বলেছে তা আত্মবিশ্বাস থেকে। এটা ভালো যদি তারা এটা বিশ্বাস করে। আমি শুনেছি মাশরাফি প্রথম ম্যাচ খেলবে না এবং সেটাতে সাকিব অধিনায়কত্ব করবে। কিন্তু আপনি যদি সাম্প্রতিক অতীত দেখেন, তাহলে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তান আধিপত্য করেছে। আর ১৯৯৯ সালের ওই একমাত্র ম্যাচ ছাড়া আমরা কখনই তাদের কাছে হারিনি।
১৯৮৮ সাল থেকে সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৭ ম্যাচ খেলে একবারই মাত্র জিতেছে বাংলাদেশ; আর সেটা হলো ১৯৯৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে।
চোটের কারণে বিশ্বকাপ না খেলতে পারা হাফিজ স্বীকার করেন যে, তাদের দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা তেমন নেই। তবে তাদের আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতার কমতি নেই বলে মনে করেন তিনি।
এই খেলোয়াড়েরা ঘরোয়া লিগে নিজেদের প্রমাণ করেছে এবং তারপর নির্বাচকেরা তাদের দলে নিয়েছে। এটা একটা নতুন যুগ, আমরা অনেক নতুন খেলোয়াড় নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু দল হিসেবে আমরা ভালো করব এবং তারা (নতুনরা) এই সিরিজের জন্য প্রস্তুত।
আগামী ১৭ এপ্রিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার জায়গায় ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। একই মাঠে বাকি দুই ওয়ানডে হবে যথাক্রমে ১৯ ও ২২ এপ্রিল।
এছাড়া এবারের বাংলাদেশ সফরে একটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্টও খেলবে পাকিস্তান।