১৩ ঘণ্টার পরও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে পদ্মার ডুবোচরে আটকে পড়া ডাম্পু ফেরি থোবাল উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে শতাধিক যাত্রী, ১১টি ট্রাক, একটি বাস ও দুটি হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরিটি চরে আটকা পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুই দফা ঝড়ে নৌ চলাচল ব্যাহত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিমুলিয়া ৩ নং ঘাটে যানবাহন লোডিংয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকা রোরো ফেরি শাহপরাণ ও ডাম্পু ফেরি থোবালের তার ছিঁড়ে ঘাটের ২০ গজ দূরে ছিটকে পড়ে। তবে ঝড়ের আগেই ৩ নং ঘাহটের র্যা ম দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা বন্ধ রাখায় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। এ সময় শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রাত সাড়ে ৮টায় ঝড় কমে এলে ১৪টি যাননবাহন ও যাত্রীদের নিয়ে কাওড়াকান্দি ঘাটে যাওয়ার পথে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে আবার ঝড়ে মুখে পড়ে থোবাল ফেরিটি। এবং এ দফায় ফেরিটি পদ্মার নদীর মাঝখানে একটি ডুবোচরে আটকা পড়ে যায়। রাত ১০টার দিকে শিমুলিয়া থেকে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ টাগ আইটি -৩৯৫ পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহমেদ আলী জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আটকে পড়া ফেরিটি উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে বিরূপ আবহাওয়ায় পদ্মার মাঝখানে আটকে থাকা ফেরির যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শেখর চন্দ্র রায় সমকাল জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ টাগ আইটি-৩৯৫ দিয়ে এরই মধ্যে ফেরির বেশ কিছু যাত্রীকে অন্য ফেরিতে পাঠানো হয়েছে।
তবে কখন নাগাড় থোবাল ফেরিটি উদ্ধার করা যাবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ।