গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জোড়া খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা ১মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া ওই আসামী হলেন আজিজুল হক বাচ্চু (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার পিটুয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, নাটোরের বড়ইগ্রাম থানার জলমন্দ গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে বাচ্চু মনোহারির ব্যবসা করতেন।
বাচ্চু বাড়ির মালিকের এক বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ হয়ে যায়। পরে নুরুল ইসলামের বোনের বিয়ে হয়ে যায়। বাচ্চু পরে নুরুলের বড় মেয়ে চাঁদনীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
নুরুল ওই প্রস্তাবও নাকচ করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সন্ধ্যায় বাচ্চু নুরুলের ঘরে ঢুকে তার দুই মেয়ে পাখি খাতুন ওরফে চাঁদনী (১৩) ও দেড় বছরের সুমাইয়া খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান আরও জানান, মামলার শুনানি শেষে নাটোরের দায়রা জজ আদালত একই বছরের ২৮ নভেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।
পরে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন বাচ্চু। ৪ মার্চ ওই আবেদনও নামঞ্জুর হলে সোমবার রাতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বাচ্চুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের উদ্বোধনের পর এটা দ্বিতীয় ফাঁস কার্যকরের ঘটনা।