হাজিরা দিলেন নাছির, জামিন পেলেন সাংসদ

SHARE

nasir6নিজ দলের নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাজিরা দিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন। তার সঙ্গে হাজিরা দেন ফেনীর সাংসদ নিজাম হাজারী ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীসহ সাতজন।

সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল হুদার আদালতে হাজিরা দেন আসামিরা। এ সময় নাছির ছাড়া অন্যরা জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ১ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে এ মামলায় জামিন নেন নাছির। আদালত আগামী ৪ মে বাদী ও সাক্ষীকে জেরার তারিখ ধার্য করেন।

১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তৎকালীন নগর ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীর ওপর অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুফিয়ান সিদ্দিকী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নাছিরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৯৯৪ সালে এই মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তা প্রত্যাহার করা হয়। হাইকোর্টের আদেশটি গত ৩ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে পৌঁছায়।

হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা আরও তিনটি মামলায় ২০০০ ও ২০০১ সালে বেকসুর খালাস পান নাছির।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আবুল হাশেম প্রথম আলোকে জানান, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নগরের কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আসামিদের উপস্থিতি ও সাক্ষীকে জেরার দিন ধার্য ছিল আজ। মামলার ১৮ আসামির মধ্যে নাছিরসহ আট আসামি আজ হাজির হন। অন্য আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।

পিপি আবুল হাশেম বলেন, মামলার বাদী সুফিয়ান সিদ্দিকীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় সুফিয়ান বাদী কি না, জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন। এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি মামলার এজাহারটি লিখেছেন কি না, পড়েছেন কি না এবং ঘটনা সম্পর্কে জানেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, এজাহার তিনি লেখেননি, পড়েননি, কিছু জানেনও না এবং ঘটনাস্থলে তিনি আসামিদের দেখেননি। পরে জেরা মুলতবি রেখে আগামী ৪ মে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।