যেভাবে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর

SHARE
kamruzzamanমানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার কার্যদিবসের শুরুতে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সরকার চাইলে যেকোনো সময় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে আসামি যদি দণ্ড মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান তবে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় কার্যকর করা যাবে না। তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে কিংবা তিনি আবেদন না করলে, সেক্ষেত্রে তার স্বজনদের জেলখানায় দেখা করার সুযোগ দেয়া হবে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই তার দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কামারুজ্জামান এখন দুটি সুযোগ পাবেন। একটি হল রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়া, অপরটি হল তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা কবে, কখন চাইবেন আইনে তার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে আসামিকে যুক্তিসঙ্গত সময় দিতে হবে প্রাণভিক্ষার জন্য। তবে যুক্তিসঙ্গত সময় তো আর ৭ দিন বা ১৫ দিন হতে পারে না। জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে তাকে কতক্ষণ সময় দেবে।’
রায় কার্যকরের বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘রিভিউ খারিজের আদেশ আপিল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনাল হয়ে জেল কর্তৃপক্ষের নিকট যেতে পারে। আবার আপিল বিভাগ থেকে সরাসরিও জেল কর্তৃপক্ষের নিকট যেতে পারে। অবশ্য ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছে। তবে কবে, কখন রায় কার্যকর হবে তা ঠিক করবে সরকার। সেটা কবে হবে তা সরকারই ভাল জানে।’