রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ ভাগ

SHARE
exগত অর্থবছরের প্রথমার্ধের চেয়ে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই সময়ে মোট আয় হয়েছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এটি এক হাজার ৪২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ১৯.৯৬ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানি আয় এক হাজার ১৯৩ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যা ৯৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (এক ডলার=৮০ টাকা হিসাবে)। পোশাকশিল্পের এই রপ্তানি আলোচ্য সময়ে এক হাজার ১২৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৯৬ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এই শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২১, চার মাসে ১৮ দশমিক ৯৬ ও পাঁচ মাসে ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পোশাকশিল্প থেকেই সর্বোচ্চ এক হাজার ১৯৩ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে সর্বোচ্চ ৫৯৮ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে নিট পোশাক খাত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৪ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।

এদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় গত কয়েক মাসের মতোই নিম্নমুখী আছে। আলোচ্য সময়ে এই খাত থেকে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৩৭ ও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মধ্যে কাঁচা পাট পাঁচ কোটি ৯০ লাখ, পাটের সুতা ২৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার ও পাটের ব্যাগে আট কোটি ৬১ লাখ ডলার আয় হয়েছে।

এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্যে ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ, হোম টেক্সটাইলে ৩৫ কোটি, কৃষিজাত পণ্যে ২৬ কোটি, চামড়ায় ২৩ কোটি ৯৪ লাখ, চামড়াজাত পণ্যে নয় কোটি ৪৯ লাখ, প্লাস্টিক পণ্যে তিন কোটি, টেরিটাওয়ালে তিন কোটি ৮০ লাখ, প্রকৌশলপণ্যে ১৭ কোটি, বাইসাইকেলে চার কোটি, পাদুকায় ২৮ কোটি ও সিরামিক পণ্যে দুই কোটি ৪৩ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। –