পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক, টেট্রা প্যাক, থার্মোকলের কাপ৷ ভারতের তামিলনাড়ুর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণীর প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে এগুলোই৷ সম্প্রতি নীলগিরির বনাঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে উদ্বিগ্ন পশুবিশেষজ্ঞ ও সংরক্ষণবিদরা৷ এ বিষয় কড়া নিয়ম আনার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা৷
তামিলনাড়ুতে এক শ’রও বেশি মন্দির রয়েছে যেগুলো সংরক্ষিত বনের মধ্যে অবস্থিত৷ এমনকি এর মধ্যে কিছু মন্দিরের অবস্থান গভীর বনের ভিতরে, যাকে ‘কোর’ এলাকা বলা হয়৷ এই সব অঞ্চলে এমনিতে মানুষের
বিশেষ আনাগোনা থাকার কথা নয়৷ কিন্তু ওই মন্দিরগুলো থাকার দরুণ তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের ভিড় জমে৷
তাদের জন্য আশপাশে গজিয়ে ওঠে দোকানপাট৷ খাবার, পুজোর সামগ্রী বিক্রি হয়৷ আর সে সব কিছুর জন্যই ব্যবহার হয় প্লাস্টিকের ব্যাগ৷ তাছাড়া অনেক সময় মন্দিরের প্রসাদ দেয়া হয় থার্মোকলের বাটিতে৷
বেশির ভাগ সময় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকরা চিপস বা বিস্কুটের প্যাকেট, চা-কফির কাপ, প্রসাদের বাটি ইত্যাদি জঙ্গলের ভিতরেই ফেলে চলে যান৷ লবণ, চিনি বা উচ্ছিষ্ট ফলের টুকরোর গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে সেগুলো খেয়ে
ফেলে হাতি, হরিণের মতো প্রাণী৷ যার জেরে অনেক সময় মারাও যায়৷
বিশেষজ্ঞরা তামিলনাড়ুর বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হাতির মল পরীক্ষা করে দেখেছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্লাস্টিক বা থার্মোকলের অংশ মিলেছে৷ তাই তাদের মত, এবার থেকে নিয়ম করা হোক জঙ্গলে ঢোকার আগে
কোনো তীর্থযাত্রী বা পর্যটকের কাছে প্লাস্টিক আছে কি না, তা দেখা হবে এবং থাকলে তা বাইরে জমা রেখে তবেই ঢোকা যাবে৷
সূত্র : এই সময়