১৪ বছরে ১ লাখ কোটিরও বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ : প্রতিমন্ত্রী

SHARE

বর্তমান সরকারের চলতি তিন মেয়াদে ৮২টি বেসরকারি এবং ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে। এছাড়া রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টকে।
এ সময় ৮২টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামের তালিকা এবং তাদের দেওয়া ক্যাপাসিটি চার্জের তালিকাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে এক হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে সম্ভাব্য বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট। সে ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য খাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলমান, প্রক্রিয়াধীন ও পরিকল্পনাধীন মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১০৮টি। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এডিবির সহায়তায় সোলার ইরিগেশন রোডম্যাপ (২০২৩-৩১) প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই রোডম্যাপের আওতায় ৪৫ হাজার ডিজেলচালিত পাম্পকে সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্পে রূপান্তর করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।