যৌন নির্যাতন মামলায় দায়মুক্তি হারাবেন ট্রাম্প!

SHARE

ধর্ষণের অভিযোগকারী ই জ্যাঁ ক্যারোলের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে। ফলে আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তিনি এখন দায়মুক্তির সুবিধা হারাতে পারেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এর আগে ট্রাম্পের আইনজীবী বলেছিলেন, ক্যারোলকে নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন ২০১৯ সালে। তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ফলে তিনি দায়মুক্তি পাবেন। কিন্তু মঙ্গলবার মার্কিন সরকারের এটর্নিরা বলেছেন, তিনি তার দায়িত্বের অধীনে থেকে এসব করেছেন এমন পর্যাপ্ত ভিত্তি নেই। এর অর্থ তিনি আর দায়মুক্তি পাবেন না। ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জ্যাঁ ক্যারোলের মানহানির মামলা এখন আরও শক্তপোক্ত হবে। উল্লেখ্য, ই জ্যাঁ ক্যারোল একটি ম্যাগাজিনের সাবেক কলামনিস্ট।
তাকে নিউ ইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ১৯৯৬ সালে যৌন নির্যাতন করেছেন ট্রাম্প- এ অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে শুনানিতে ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। সেই অর্থ ক্যারোলকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মিস ক্যারোলের বয়স এখন ৭৯ বছর। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন। তাতে এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। এই মামলার বিচার শুরুর কথা জানুয়ারিতে।
২০১৯ সালে ক্যারোলের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তখন ক্যারোল সম্পর্কে তিনি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ জন্য তার কাছে ওই ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন ক্যারোল। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ক্যারোলের কাছে ৫০ লাখ ডলার দেয়ার নির্দেশের দু’মাস পরে সিএনএন টাউন হলে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এর আগে আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় যে, ট্রাম্প যখন মন্তব্য করেছেন তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ জন্য তিনি সরকারের আইনজীবীর সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু মঙ্গলবার আইনজীবীরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের অধীনে পড়ে না ওই মন্তব্য। এর পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও নেই। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতির কাছে জমা দেয়া চিঠিতে আইন মন্ত্রণালয় লিখেছে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অনেক বছর আগে ঘটে যাওয়া বিষয়ে ব্যক্তিগত মত দিয়েছিলেন তিনি। তিনি ৭৭ বছর বয়সে দায়িত্ব থেকে যাওয়ার পর নতুন তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে। আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, যদিও ট্রাম্পের ওই মন্তব্য সরকারি চ্যানেলে করা হয়েছিল, তবে সেটা ছিল তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়ে। সেটা ছিল যৌন নির্যাতন নিয়ে। এই ঘটনা ঘটেছিল তার প্রেসিডেন্সির কয়েক দশক আগে।
আইন মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মিস ক্যারোলের আইনজীবী।