ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

SHARE

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যে অভিযোগে করা এ মামলায় পিটিআইয়ের সাবেক নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছিল পিটিআইয়ের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরের বিরুদ্ধেও। তবে চার সদস্যের ইসিপি বেঞ্চ ইমরান খান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ফাওয়াদের বিরুদ্ধে শুধু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একাধিকবার তলব করা সত্ত্বেও শুনানিতে হাজির না হওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

আসাদ উমরও শুনানিতে হাজির হননি। কিন্তু তাঁর আইনজীবী উমাইমা মনসুরের অনুরোধে আসাদ উমরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনি ইসিপি বেঞ্চ। শুনানিতে আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, আসাদ উমর সচরাচর এ ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত থাকেন না। তিনি শুধু গত শুনানিতেই উপস্থিত ছিলেন না।

এরপর ইসিপি বলেছে, বাকি দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। কারণ, এ মামলায় এখন শুধু অভিযোগ গঠনই বাকি আছে।

সিইসিকে নিয়ে অশোভন বক্তব্য দেওয়ায় গত বছর পিটিআইয়ের এই নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে ইসিপি। এরপর সশরীর ইসিপি বেঞ্চে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু পিটিআইয়ের নেতারা ইসিপি বেঞ্চের শুনানিতে হাজির হননি। পরে তাঁরা পৃথক হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশন আইন, ২০১৭-এর ১০ নম্বর ধারার অধীনে নির্বাচন কমিশনের মানহানির আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেন।

গত বছর পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলের এই নেতার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণের এক মামলায় গত মে মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ হয়। ইমরান খান এখন জামিনে আছেন।

ইমরান খান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৮০টি মামলা রয়েছে। এমন ‘মিথ্যা’ মামলায় তিনি এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ছুটছেন। বিশ্বের কোনো দেশে ছয় মাসে একজনের বিরুদ্ধে ১৮০টি মামলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে গত ৯ মের সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী এবং পিটিআইয়ের অনেক নেতার বিদেশযাত্রার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।