পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের ফলে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস

SHARE

জনমত সমীক্ষাকে পাত্তা না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিততে যাচ্ছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার হয়েছে অনিয়মের জন্য বাতিল কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নির্বাচনের ফলাফল গণনা শুরু হয়। ফলাফল গণনাকে কেন্দ্র করে আজ বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তৃণমূলের নজরদারিতে অশান্তির আবহে ভোট গণনা হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলে জানা গেছে, ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২ হাজার ২২৯টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি ২০৭টিতে, বাম ফ্রন্ট ৫৫টিতে, কংগ্রেস ৫৫টিতে এবং আইএসএফ জেতে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে।

অপর দিকে ৩৬১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২৯টিতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। বিজেপি জিতেছে ৯টি এবং বাম ফ্রন্ট জিতেছে ৩টিতে। জেলা পরিষদের আসনের ফলাফল এখনো এসে পৌঁছেনি। বাকি আসনের গণনা এখনো চলছে।

বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, গণনা কেন্দ্রে সন্ত্রাস করে, বিরোধীদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে না দিয়ে একতরফা রাজত্ব চালিয়ে জিতে নিয়েছে তৃণমূল। এই ফলাফলে মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তৃণমূল এভাবে আসন পেত না।

তবে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছেন, বাংলার মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মঙ্গলবার বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু হিংসা আর দ্বিতীয় বড় শত্রু দুর্নীতি। গণতন্ত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে।’

গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসন বিনা যুদ্ধে জিতেছিল শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থীরা। বাকি আসনেও সিংহভাগ দখল করেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল শাসক দল। কিন্তু বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম দলের প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।