দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি তখন ষড়যন্ত্র করছে : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত বিএনপিকে বর্জন করুন। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে যখন সমৃদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বিএনপিসহ মিত্ররা।
আজ রোববার (৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা আয়োজিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য বলেন, বিএনপিসহ তাদের কিছু মিত্র দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। তবে বিএনপি এখন চারটি বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। আর বক্তব্যগুলো হচ্ছে— তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তারেক রহমানের শাস্তি। কিন্তু এর বাইরে তাদের দেশের জনগণকে নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাদের নেতা, কর্মী, সমর্থদের বলেছে নির্বাচন বর্জন করার জন্য। তাদের আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি। নির্বাচনে ৫০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এটি বিএনপির ওপর চপেটাঘাত। এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া দরকার। বিএনপি বর্জন করতে পারে। কিন্তু জনগণ বর্জন করবে না।
দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে তা দেশের জনগণের কাছে আপনাদেরই তুলে ধরতে হবে। এখন গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে শহরের ছেলেদের আর কোনো পার্থক্য নেই। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশকে নিয়ে নানা রকমের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে আমাদেরই দু’একজন রাজনীতিবিদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ২২ প্রকার ভাতা চালু আছে। যেমন- বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা। আর এই সমস্ত সামাজিক কার্যক্রমগুলো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই বিতরণ করা হয়ে থাকে। কাজেই আপনারাই জানেন যে, দেশের প্রান্তিক জনগণের জন্য সরকার কী ভূমিকা রাখছে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলী ও সংগঠনের মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।