পিএসজি ছাড়ার বিষয়ে যা বললেন মেসি

SHARE

বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসি ইউরোপের ফুটবলকে বিদায় বলেছেন। না চাইতেও নিজের প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা থেকে বিদায় নেয়ার পর দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। এরপর ফের বার্সায় ফেরার নাটকীয়তা এবং সৌদি লিগে খেলার বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব উপেক্ষা করে পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিকে। তবে ফরাসি জায়ান্টদের সাথে দুই বছরে তাকে সইতে হয়েছে অনেক যন্ত্রণা। ক্লাব ছাড়ার পর এবার এসব বিষয়ে মুখ খুলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
বিশ্বজয়ের পর পিএসজির হয়ে আবার মাঠে ফিরলেও মেসিকে ঠিক বরণ করে নেয়নি দলটির ভক্ত-সমর্থকরা। তাকে করা হয়েছে উপেক্ষা, করা হয়েছে বিদূপ। তাঁর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্লাবের সাবেক ফুটবলাররা। এমনকি সৌদি ভ্রমণের কারণে দেয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞাও। পিএসজির হয়ে বিদায়ী ম্যাচেও সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন তিনি। এবার এক ফরাসি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক।
বিইন স্পোর্টস ফ্রান্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘প্রথম প্রথম প্যারিসের লোকজনদের ভালই লাগত। আমাকে উৎসাহ দিতেন ওঁরা। তবে এরপরই নাকি বদলে যেতে থাকে তাদের আচরণ। ‘হঠাৎ করেই এক অংশের লোকের আচরণ বদলে যায়। আমার সঙ্গে অন্য রকম আচরণ শুরু করেন ওঁরা। এটা স্রেফ একটা অংশের সমর্থকদের কাণ্ড ছিল। বেশির ভাগ সমর্থকই আমাকে ভালবাসতেন। প্যারিসের সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে পরিষ্কার একটা বিভাজন ছিল’, বলেন তিনি।
যে বিভাজনের কথা তিনি বলেছেন তা এমবাপে-নেইমারের বেলায়ও আছে জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি চাইনি কোনও বিভাজন থাকুক। কিন্তু আগে এমবাপে এবং নেমারের সঙ্গেও একই কাজ করেছেন ওঁরা। এটাই ওঁদের স্বাভাবিক আচরণ। তবু এর মধ্যেও যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন তাঁদের ভুলব না। প্রথম থেকেই ওঁরা আমার পাশে ছিলেন।’
উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনার কাছেই পরাজিত হয় ফ্রান্স। এতে করে টানা দুই বার সোনালি ট্রফি ঘরে তোলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। এরপর পিএসজি চ্যাম্পিওয়ন লিগ থেকে বাদ পড়ায় সমর্থকদের অভিযোগের মাত্রা বেড়ে যায় মেসির প্রতি। প্রশ্ন ওঠে তাঁর নিবেদন নিয়ে। বলা হয় দেশের জন্য যে অনুপ্রেরণা নিয়ে খেলেন তিনি তাঁর ছিটেফোটাও থাকেনা পিএসজির হয়ে খেলার সময়। এদিকে কিছুদিন আগে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের সাথেও বিরূপ আচরণ করেছে একদল সমর্থক। তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে নেমেছিল তারা, সেলেসাও স্ট্রাইকারের ক্লাব ছাড়ার দাবিও তুলেছে তারা।