বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা শেষে ৪ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি পার করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জানা যায়, টাইটান সাবমারসিবল ‘বিস্ফোরিত’ হয়েছে। বিসিবির সংবাদে এমন তথ্য পরিবেশি হয়েছে। এই ঘটনা এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত।
টাইটানের এমন করুণ পরিণতির আগাম তথ্য দিয়েছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ‘টাইটানিক’সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন। কিন্তু এরপরও বিশ্ববাসী আশা করেছিলেন টাইটানের অভিযাত্রীরা প্রাণ নিয়ে ফিরবেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত হলিউড সিনেমা ‘টাইটানিক’-এর নির্মাতা জেমস ক্যামেরন জানান, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ‘টাইটান’ নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পরই তিনি সাবমেরিনটির পরিণতি অনুমান পেরেছিলেন।
ক্যামেরন এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, ‘কী ঘটেছে, তা আমি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি। সাবমেরিনটির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এই তথ্য জেনে সঙ্গে সঙ্গেই অনুমান করতে পেরেছি, সাবমেরিনটি আর নেই। কারণ একটি চরম বিপর্যয়মূলক ঘটনা ছাড়া এগুলো একত্রে অকার্যকর হতে পারে না।’
ক্যামেরন আরও জানান, রবিবার ‘টাইটান’ যে মুহূর্তে নিখোঁজ হয়, তখন তিনি একটি জাহাজে ছিলেন। সোমবার পর্যন্ত তিনি টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। ঘটনাটি জানার পর ক্যামেরনের মাথায় প্রথমেই যে বিষয়টি এসেছিল, তা হলো—বিস্ফোরণ। এই করুণ পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের কথা মিলে যায়।
২২ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছেই অপর একটি ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান। সেখানে ডুবোযান টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ পাওয়া যায়। এসব অংশ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছিল।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়। আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। ‘টাইটানিক’ সিনেমা নির্মাণের জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ক্যামেরন ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন।




