ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে বাসচাপায় গার্মেন্টস কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
শনিবার সকালে সোনারগাঁওয়ে ত্রিবর্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পোশাক কর্মী আলম ত্রিবর্দী এলাকার চৈতি গার্মেন্টের প্রিন্টিং বিভাগের শ্রমিক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, সকালে মোগরাপাড়া থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের ত্রিবর্দী চৈতি গার্মেন্ট এলাকায় অতিক্রম করছিল। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলমকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আলম মারা যায়। এসময় আহত হয় আরো ১০ বাস যাত্রী।
বাসচাপায় শ্রমিক নিহতের ঘটনা খবর পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে দেয়। পরে ওই শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় শ্রমিকরা খণ্ড খণ্ড ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা অবরোধে আটকেপড়া ও দোয়েল পরিবহনে গ্যারেজে থাকা প্রায় ১০টি গাড়িতে ভাংচুর চালায়। প্রায় তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার ফলে মহাসড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেলা প্রায় ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে চৈতি গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ শনিবার কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারখানার এজিএম মিজানুর রহমান।