বলা হয়, পুরুষ সৌন্দর্যের পূজারী এবং নারী হলো সৌন্দর্যের আধার। রূপক অর্থে নারীকে তাই কখনও দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। পুরুষ যেন সেই দেবীর গুণমুগ্ধ একজন পূজারী। নারীর শারীরিক সৌন্দর্য ছাড়াও চেহারা, চুল, কথা কিংবা হাসি যাই বলা হোক না কেন, পুরুষ যেন এসবের গুণমুগ্ধ গুণবিচারী।
তবে নারীর সব সৌন্দর্য উপকরণের মধ্যে যে দিকটি পুরুষের মনে জায়গা করে নেয় সহজেই এবং যা সেই মনে বসবাসও করে দীর্ঘদিন, তা হলো নারীর দাঁত। ম্যাচ ডটকম নামের একটি অনলাইন পোর্টাল এমনটাই জানিয়েছে।
কোনও পুরুষ তার সঙ্গী নির্বাচনে নারীর কোন কোন দিকগুলোর প্রতি নজর দেন, তার উপর ভিত্তি করেই ম্যাচ ডটকম তাদের সমীক্ষাটি চালিয়েছে। আর এই সমীক্ষায় ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নারীর দাঁতই এখন প্রধান আকর্ষক বলে নির্বাচিত হয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে চালানো এই সমীক্ষা অনুযায়ী নারীর সৌন্দর্যের ১০টি দিকের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকার অর্ধেক জুড়েই নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য উপকরণ স্থান করে নিয়েছে। তালিকায় এসব উপকরণের মধ্যে দাঁতের পরেই রয়েছে নারীর চুল, যা ভোট পেয়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ।
একটি প্রথম সারির টুথপেস্ট প্রস্তুতকারক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘প্রতিদিনের দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন, তারা (দাঁত) আপনাকে এর প্রতিদান দেবে, বাড়িয়ে দেবে আত্মবিশ্বাস, তাই আপনার জমকালো হাসির জন্য আপনি হবেন গর্বিত।’ তারা আরও বলছেন, ‘হাসি নিয়ে লোকজন আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। আর আমাদের কাছে যে সব মক্কেল আসে তাদের বেশিরভাগেরই চাওয়া হল একটি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর সাদা হাসি।’ এক সমীক্ষায় এই সংস্থা দেখেছে, তাদের কাছে যে সমস্ত মক্কেল আসে তাদের মধ্যে প্রতি তিনজনের অন্তত একজন প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করে না।
শুধু বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণের জন্যই নয়, প্রতিদিন দুই বেলা দাঁতের সুরক্ষা নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে দেয় মানুষের আত্মবিশ্বাস।