ভূমিদস্যু, ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ ও নব্য আওয়ামী লীগার সম্পর্কে সজাগ থাকতে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠটির ঢাকা বিভাগীয় শাখা আয়োজিত এক সভায় এমন আহ্বান জানানো হয়। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত ধান্দাবাজ নতুন করে বঙ্গবন্ধু প্রেমিক সেজেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক সেজে স্কুলের জায়গা, সংখ্যালঘুদের জায়গা জাল দলিল করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ব্যাংকে সরকারি লোন নেয়, বিদেশে লোকজন পাঠানোর জন্য তদবির করে এবং বিভিন্ন তদবির ব্যবসা শুরু করে তারা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক নয়।এরা বঙ্গবন্ধুর নাম ও শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে। সংগঠনকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম করছে। বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের এজেন্সীর কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সংগঠন ভাঙার চক্রান্ত করছে।
এদের প্রহিত করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সব সংস্কৃতি কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, শেখ হাসিনা ১৭ মে যদি বাংলার মাটিতে ফিরে না আসতেন তাহলে আমরা এখন পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে বসবাস করতাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতো না, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো স্বার্থ নিয়ে এবং সংগঠনকে ব্যবহার করে ব্যাংক লোন, স্কুলের জায়গা দখল, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর দখল, ভূমি দস্যু, ব্যবসা-বাণিজ্য, তদবির করেন তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের ঢাকা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুন্নেছা রুনার সভাপতিতে সভায় বক্তব্য দেন, সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি, নূরজাহান মুক্তা, আবুল কালাম আজাদ, তাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোবারক আলী শিকদার, সহসভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, সৈয়দ হাসান ইমাম, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, ড. ইনামুল হক, অভিনেতা কে.এম ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, কবি হালিম আজাদ, কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, রোকেয়া প্রাচী, শিরীন বকুল প্রমুখ।