৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সক্ষমতা আছে : সিইসি

SHARE

নতুন করে ইভিএম মেশিন না কিনলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন ইভিএম মেশিন কেনার জন্য এরই মধ্যে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই চলছে। তবে সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিষয়টিও নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করছে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনে আমাদের ৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সক্ষমতা আছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য আর কিছু একবারেই বিনষ্ট। এ মেশিনগুলো জাতীয় সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে; যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ইভিএম মেশিনগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে।
সিইসি বলেন, বিএনপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে একাধিকবার অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি আমাদের সে অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড়। এক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনগুলোয় ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণ করা হবে। তবে, ওইসব কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের আর্থিক সঙ্গতি কমিশনের আপাতত নেই।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বর্তমানে তিন দিনের সফরে পটুয়াখালীতে অবস্থান করছেন। আজ বিকেলে তিনি কুয়াকাটা আঞ্চলিক নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করবেন। পরে শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।