ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার শুরু

SHARE

rajibব্লগার রাজিব হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করেছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। যাদের বিরুদ্বে চার্জ গঠন করেছে তারা সকলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

চার্জ গঠন শেষে আগামী ২১ এপ্রিল স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধায্য করেছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. রুহুল আমিন ।

যাদের বিরুদ্বে চাজ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বিপু, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসানুর রেজা রুম্মান, মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ , নাফির ইমতিয়াজ, সাদমান ইয়াছির মাহমুদ  ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা ,আসামিদের শেষের জন পলাতক।

গত ৫মাচ চার্জ শুনানি শেষে  ১৮ মার্চ বুধবার আদেশের জন্য দিন ধায্য  করেছিলেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবু আবদুল্লাহ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য শুনানি করেন।

এপর আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এম এ খায়রুল হক লিটন ও অ্যাডভোকেট মো. ফারুকসহ অন্যান্য আইনজীবীরা শুনানি করেন।

শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন না করে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

শুনানিকালে কারাগারে আটক সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাকৃতপক্ষ।

আটক আসামিরা আদালতে রাজিব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মতে জবানবান্দির দিয়েছে। তবে শুধু মাত্র মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী স্বীকারোক্তিতে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও অপরাপর স্বীকারোক্তিকারী আসামিরা রাহমানী রাজিবকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন।

মামলাটিতে গত বছর ২৮ জানুয়ারিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

উল্লেখ্য,শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্ত রাজীব হায়দার শোভনকে গত  বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পৌনে আটটার দিকে রাজীব যখন পল্লবীর বাসার গেইটের কাছাকাছি পৌঁছার পর রানা তাকে রিক্সা থেকে ধাক্কা দেয় এবং ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ চাপাতি দিয়ে গলা থেকে মাথা আলাদা করার জন্য কোপ দেয়। কোপে রাজীব মারাত্মক আহত হয়ে চিৎকার করে দেয়ালের ওপর পড়ে যান। তারপর ফয়সাল রাজীবকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়।