প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোসহ মিতব্যয়িতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
সচিবালয়ে সচিব কমিটির বৈঠক শেষে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
কয়েক মাস আগে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট ও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোরতা বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করে। গত জুন মাস থেকে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়সহ মিতব্যয়িতা বজায় রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকটি ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটির বৈঠকের ফলোআপ সভা।
তিনি বলেন, জুন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৪৮ শতাংশ খরচ কমানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আপ্যায়নের জন্য ৬০ শতাংশের বেশি খরচ কমানো হয়েছে এবং প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ জ্বালানিতে কমানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমিটি খাদ্য মজুদ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেছে। আগামী রমজান পর্যন্ত কোনো খাদ্য ঘাটতি থাকবে না বলেও জানান তিনি।
সভায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, চলতি বোরো মৌসুম শেষে আগামী মে মাস পর্যন্ত দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে এবং সংরক্ষিত খাদ্য ছাড়াও চলতি মৌসুমে দেশে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
দীর্ঘ খরার কারণে নিম্নাঞ্চলেও আমন ধান উৎপাদিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।