বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও দলটির মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদের ‘নিখোঁজে’র ঘটনা নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে নিউ ইর্য়কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
আজ বুধবার সংগঠনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে কয়েক জন লোক ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সালাহ উদ্দিনকে হাজিরের জন্য তার স্ত্রী আদালতে আবেদন করলে পুলিশ জানায়, তাদের কাছে তিনি নেই। তাকে তারা আটকও করেনি। তাকে খুঁজে বের করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এইচআরডব্লিউ-এর এশিয়ার প্রধান ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘বিরোধীদলীয় সদস্যদের গুমের ঘটনা তদন্ত ব্যর্থ হওয়ার ইতিহাস বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে। আহমেদের গুমের ঘটনায় একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। এটি দ্রুত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে ১৮ এপ্রিল পার করা ঠিক হবে না।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় তুলে ধরা হয় ওই বিবৃতি। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। সরকার ও বিরোধী দল এর দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরজুড়েই সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। এর পর চলতি বছরে খুন, গুম ও হত্যার ঘটনা বেড়েছে।
অ্যাডামস বলেন, ‘দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হয়েছে এমন শক্ত অনেক প্রমাণ তাদের রয়েছে। কিন্তু এ সব ঘটনার খুব কমই তদন্ত হয়েছে এবং কিছু ঘটনা সরকার তদন্ত করলেও তেমন কোনো প্রমাণ তারা হাজির করতে পারেনি। সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও এসব ঘটনায় জড়িত কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে আটক করা হয়নি।
নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাধিক বলপ্রয়োগ বন্ধের প্রতিজ্ঞা করে ২০০৯ সালে আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর দায় মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি তার সরকার।
অ্যাডামস বলেন, আহমেদের গুমের ঘটনা দায়মুক্তি নমুনারই একটি বিরাট অংশ। তার আটকে জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানো এবং তদন্তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অলসতা একই আচরণের অংশ।