বঙ্গবন্ধুর পাশে চাঁদাবাজদের ছবি দেখতে চাই না

SHARE

obaidull28এখন রাজনীতিতে আদর্শ নেই অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আমি ব্যথিত হই বিভিন্ন রাস্তায় বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে চাঁদাবাজ, টাউট-বাটপার ও লুটেরাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দেখে। এসব চাঁদাবাজ-টাউট-বাটপারদের ছবি বঙ্গবন্ধুর পাশে দেখতে চাই না।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে এক ধরনের মানুষেরা এ অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপোস নেই, তাদেরকে নিবৃত করতে হবে। যেখানেই বঙ্গবন্ধুর পাশে চাঁদাবাজ, টাউট-বাটপার ও লুটেরাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দেখবেন, সেগুলো ছিড়ে ফেলবেন। তাতেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। আর এ কাজ (নিবৃত) যারা করবেন, তারাই হবেন বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের আদর্শের অনুসারী।

তিনি বলেন, ভাষণ-বক্তৃতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করার দরকার নেই, তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েই আছেন। এই মাটি যতোদিন থাকবে, বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করা যাবে না। বক্তৃতার চেয়ে বঙ্গবন্ধুকে আমরা কতোটা অনুসরণ করি, সেটাই মূল বিষয়। এখানকার ক’জন বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়েছি? বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অনুসরণই রাজনীতির জন্য যথেষ্ট। তাহলেই রাজনীতি আদর্শের দিকে যাবে, মূল্যবোধের দিকে যাবে। আজকের রাজনীতিতে আদর্শ নেই।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের রাজনীতি এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ, অন্ধের মতো আক্রোশের। এখানে কর্মসম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা শ্রেণি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও জয়কে অপহরণ চেষ্টা করে কর্মসম্পর্কের পরিবেশ বিষাক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেও হরতাল-অবরোধ ডেকেছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইএসের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এলায়েন্স গঠন করে তাদের দমন করছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশে আইএস স্টাইলে কর্মকাণ্ড করছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে সংলাপ করে লাভ কি? সংলাপ করতে হলে সম্পূর্ণভাবে এ সন্ত্রাস-সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। তারপর দেখা যাবে সংলাপ হবে কি-না!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, অযৌক্তিক কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে নেওয়া যায় না। ভুল পথে ভালো ফল হয় না।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির আন্দোলন সরকার হটানোর জন্য নয়। তাদের আন্দোলন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। তারা আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে।

চিত্রনায়িকা দিলারা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ প্রমুখ।