নয়া দিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আগামী ২৬ মে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ওই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমন্ত্রণপত্রটি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ভারতের প্রভাবশালী হিন্দি দৈনিক জাগরণের অনলাইন সংস্করণের এক খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
পত্রিকাটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাউথ ব্লকের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের উপস্থিতি কামনা করছে বিজেপি। এ জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ সার্কের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর গত রোববার বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে মোদিকে বাংলাদেশ সফরে আসারও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।
জাগরণের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপি চাচ্ছে নতুন ভারত বির্নিমাণে দেশগুলোর প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ কারণে তার শপথে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে। এ কারণে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে প্রথমে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। তারপরেই পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ মের শপথে পাক প্রধানন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বশরীরে আসবেন নাকি প্রতিনিধি পাঠাবেন তা এখনো নিশ্চিত নয় সাউথ ব্লক।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে নরেন্দ্র মোদি ‘বাংলাদেশী’ অনুপ্রবেশ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী সভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৬ মে’র পর অনুপ্রবেশকারী ‘বাংলাদেশী’দের বাক্স-পেঁটরা গুছিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
নির্বাচনে জেতার পরও তিনি ‘বাংলাদেশী’দের বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন। সোমবার স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠোকাতে আলাদা দফতর খোলার আগ্রহ নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দফতরের প্রধান দায়িত্ব হবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর রূপরেখা ও অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা।