২০৩০ সালে ৬টি এমআরটি লাইন দৃশ্যমান হবে : সেতুমন্ত্রী

SHARE

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে আমরা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিচ্ছি। পরিবহন, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-৬-এর উদ্বোধন খুব বেশি দূরে নয়। আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। আমরা আশাকরি আগামী বছর ডিসেম্বর পুরো লাইন চালু হবে। এছাড়া আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ৬টি লাইনই চালু করা হবে।
আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা ম্যাস ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত এমআরটি লাইন-১ (মেট্রোরেল) এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এ জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আমরা আজকের বাংলাদেশকে উত্তরাত্তোর পরিবহন খাতে, যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় জাইকার যে ফান্ডিং সেটি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলার একটি গোল্ডেন অপরচ্যুনিটি (সুযোগ) করে দিয়েছে। সেজন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানাই।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মেয়াদে সড়কের বেশি উন্নয়ন হয়েছে। দেশের গ্রামগুলোকেও শহর মনে হয়। এখন খুব অল্পসময়ে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। জনগণের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনও বাড়ছে। ২০২২ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন উত্তরা-আগারগাঁও এলাকায় চালু হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, সাতজন জাপানি নাগরিক হলি আর্টিসান হামলায় নিহত হয়েছেন। আমরা এমন ট্রাজেডি দুঃখের সঙ্গে স্মরণ করি। তারপরেও উন্নয়ন কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্মকাণ্ডে জাপান একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফর দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে মনে করি। আশা করি, বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমাদের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। আমরা আশা করি, তারা আমাদের উন্নয়নকাজে পাশে থাকবেন। মেট্রোরেল আমাদের স্বপ্ন নয় বাস্তবতা, প্রধানমন্ত্রী শিগগির এটির উদ্বোধন করবেন।
এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড বক্তৃতা করেন।