যৌন হয়রানির প্রতিবাদ হিসেবেই লোহার অন্তর্বাস পড়ে রাস্তায় নেমেছিলেন আফগানিস্তানের শিল্পী কুবরা খাদেমি। কিন্তু এরপর থেকে মোটামুটি পালিয়েই আছেন তিনি। কারণ প্রতিদিনই ফোনে কিংবা ই-মেইলে মৌলবাদীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। অবশ্যই এটিকে আফগানিস্তানের বাস্তবতা মেনে মিস খাদেমি বলছেন, “তুমি ক্ষুদ্ধ ঠিক আছে। কিন্তু আমি এভাবেই কাজ করি এবং আমি থামছি না”। কুবরা খাদেমি নারীরা যেসব যৌন হয়রানির শিকার হন তা তুলে ধরতেই রাস্তায় নেমেছিলেন লোহার অন্তর্বাস পরে। মূল পোশাকের উপরেই তিনি স্তন ও পেট আবৃত করেছিলেন লোহার বন্ধনী দিয়ে। আর নিতম্বের দিকটাও আরেকটি লোহার বন্ধনী দিয়ে আবৃত ছিল তার। তারা পরিকল্পনা ছিল যে তিনি দশ মিনিট রাস্তায় হাঁটবেন। কিন্তু আট মিনিট যেতে না যেতে ক্রুদ্ধ জনতার কারণে তাকে গাড়িতে ফিরে যেতে হয়। লোকজন তাকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন জিনিস ছুঁড়ছিল। এমনকি শিশুরাও চিৎকার করছিলো। খাদেমি তার পারফরমেন্সের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “আফগানিস্তানে বোরকাও নারীদের কোন সুরক্ষা দিতে পারছেনা। এমনকি পুরো শরীর আবৃত রাখলেও হয়রানির শিকার হতে হয়”। একটি গোপন স্থান থেকে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বক্ষ ও নিতম্বের জন্য লোহার বন্ধনীর ডিজাইন নিজেই করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, পুরুষেরা নারীর এসব দিকই দেখে। পরে পারফরমেন্স প্রদর্শনের জন্য তিনি কাবুলের ব্যস্ত একটি সড়কে যান যেখানে শিক্ষার্থী থাকার সময় নিজেই হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমি চিৎকার দিয়েছিলাম। সবাই তাকিয়ে দেখছিলো এবং এমনভাবে তাকাচ্ছিলো যে কত সাহস তোমার তুমি চিৎকার দিচ্ছো।” “তখন কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি বরং আমাকেই উল্টো দোষ দিচ্ছিলো” বলেন তিনি। -বিবিসি