আত্মসমর্পন না করলে সরকার কোর্টের আদেশ মানতে বাধ্য হবে

SHARE

hasina141বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে সরকার কোর্টের আদেশ মানতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওনার (খালেদা জিয়ার) জন্য নিরাপদ জায়গা হচ্ছে আদালত। আদালতে সারেন্ডার করলে তার জন্যই ভালো হবে।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সরকারের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি আবারো নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংলাপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওনার (খালেদা) সঙ্গে কিসের সংলাপ। যিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেন না। যিনি জঙ্গী নেত্রী। যার হাতে রক্ত, মানুষের পোড়া গন্ধ তার সঙ্গে কিসের সংলাপ?

পেশাজীবীদের সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। এই কষ্ট লাগবে যা যা করার দরকার সরকার তাই করবে। আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না।

শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনার কথা বলে উনি (খালেদা) এখন গলা শুকিয়ে ফেলছেন। অথচ আলোচনার জন্য আমি নিজে ওনাকে ফোন দিয়েছি। আর উনি ফোনে যে ভাষায় কথা বলেছেন তা সবাই জানে। ওনাকে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করেছি। যে মন্ত্রণালয় চান সে মন্ত্রণালয় দেবো বলেছি। চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পর্যন্ত দেওয়ার কথা বলেছি। উনি নির্বাচনে আসেন নি। উনি নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছেন তার খেসারত এখন জনগণ দেবে কেন?

নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি কার্যালয় থেকে সিটি করপোরেশনের লোক দিয়ে ৮ বস্তা ময়লা-আবর্জনা বের করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা গভীর আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। সবাই জানে তিনি ওখান (বিএনপি কার্যালয়) থেকে বিবৃতি দিয়ে আসছেন। এখন ৮ বস্তা ময়লা-আর্বজনার সঙ্গে তাকেও পাচার করে দেওয়া হয়েছে কি না জানি না। আমরা তাকে খুঁজছি। পুলিশ খোঁজে পেলেই তাকে গ্রেফতার করবে।

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অবস্থান করার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ওনার মাথায় কে ঢুকিয়েছে এভাবে তিনি কিছু করতে পারবেন। জানি না উনি ওখানে বসে কি মহাকাজ করছেন। বাড়ি ছেড়ে কার্যালয়ে গিয়ে বসে আছেন। জানি না সেখানে কি মধু আছে।

খালেদা জিয়ার আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি হরতাল অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তার দলের লোকেরাইতো তার কর্মসূচি মানে না। দলীয় নেতাদের অফিস-কারখানা সবই চালু আছে। তারা রাস্তায় গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তাদের কেউ সাড়া দেয় নি। উত্তর-পশ্চিম কোনো দিক থেকেই সাড়া আসেনি।

খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারে হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলেসও লজ্জা পেতো মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে উনি বক্তব্য শুরু করেছেন মিথ্যা দিয়ে। উদর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়েছেন তিনি। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারছেন উনি আর দোষ চাপাচ্ছেন আমাদের ওপর। হিটলার বেঁচে থাকলে ওনার মিথ্যাচার দেখে হিটলারও লজ্জা পেতেন।

সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন।