কারণ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।
আকস্মিকভাবে কাজাখস্তান সফর বাতিল ও দক্ষিণ ওশেটিয়ার প্রতিনিধির সাথে একটি চুক্তি স্থগিত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্নটি বেশ জোরালো হয়েছে।এমনকি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা দ্য ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) সাথে বার্ষিক সভায়ও অনপুস্থিত তিনি।
অবশ্য পুতিন অদৃশ্য হওয়ার সংবাদ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেসকভ। তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভাল আছেন’।
প্রেসিডেন্টের সাবেক উপদেষ্টা আন্দ্রেই ইয়ারিনোভ তার ব্লকে লিখেছেন, ‘… ধারণা করা হচ্ছে পুতিন শিগগিরই দীর্ঘ দিনের জন্য বিশ্রামে যাচ্ছেন- এমন ঘোষণা পাচ্ছেন রুশরা।’
টুইটার,ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘প্রাসাদ যড়যন্ত্রের’ কথাও বলছেন অনেকে। তাদের মতে,পুতিনের এই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কারণ চলমান সংকট ও অর্থনৈতিক চাপ থেকে সাময়িক নিষ্কৃতি পাওয়া।
পুতিনের এই অদৃশ্য হওয়া নিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক শোল্ট বলেন, ‘একজন বিশ্ব নেতার অবস্থান কোথায় এ নিয়ে আমরা যথেষ্ট সমস্যায় আছি। তবে এ ব্যপারে রুশরাই ভাল বলতে পারবেন।’
পুতিনকে সর্বশেষ দেখা যায়, গত ৫ মার্চ ইটালির প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসির সাথে এক বৈঠকে।
গত শুক্রবার ক্রেমলিন পুতিনের একটি ভিডিও এবং কিছু স্থির ছবি প্রকাশ করে। পরে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করে। কিন্তু ওই ভিডিও সাম্প্রতিক কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
কাজাখস্তান সফর বাতিল হওয়ার পর দেশটির সরকারের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পুতিন সম্ভবত অসুস্থ।’ তবে এর জবাবে মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, ‘চিন্তার কোন কারণ নেই ,সবকিছু ঠিক রয়েছে। মস্কোর একটি রেডিওকে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট অন্য সময়ের মত সভা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সবকিছু প্রকাশ করা হচ্ছে না।’ সূত্র:দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া