রোনালদোর আর্জেন্টাইন সতীর্থকে নিতে ২০ ক্লাবের টানাটানি

SHARE

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়েও ক্লাব পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অথচ সেই ম্যানইউর এক ফুটবলারকে পেতে বিড করেছে ২০টিরও বেশি ক্লাব। বর্তমান বাজারে দারুণ চাহিদা থাকা সেই ফুটবলারের নাম আলেহান্দ্রো গারনাচো। যাকে ভাবা হচ্ছে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যত মেসি।

বিশ্ব ফুটবলে প্রতিভার আতুর ঘর বলা যেতে পারে আর্জেন্টিনাকে। যুগে যুগে ম্যারাডোনা, বাতিস্তুতা, রিকুয়েলমে, মেসির মতো সুপারস্টারের জন্ম দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।

এবার সেই দলে ভিড়তে চলেছেন আরো একজন। যার নাম আলেহান্দ্রো গারনাচো। কতটা প্রতিভাবান এই ফুটবলার আর কতই বা তার চাহিদা। তার প্রমাণ হতে পারে দলবদলের বাজারের শেষ সময়ে তাকে ঘিরে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আগ্রহ।

রোনালদো-সানচেজ-মার্শিয়াল-রাশফোর্ডদের কারণে ম্যানইউর মূল দলে এখনও হতে পারেননি নিয়মিত। তাই এক মৌসুমের জন্য তাকে ধারে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে রেড ডেভিলস। আর তারপরই তাকে দলে টানতে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করেছে বিভিন্ন ক্লাব।

এরই মধ্যে ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ উইঙ্গারকে পেতে বিড করেছে ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, ইতালির ২০টিরও বেশি ক্লাব। অথচ ভাবা যায় তারই সতীর্থ সর্বকালের সেরা গোলস্কোরার রোনালদোকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি তেমন কেউই।

অথচ, আর্জেন্টাইন হলেও সেই তিনি নিজেও একজন রোনালদো ভক্ত। গেলো মৌসুমে ম্যানইউর যুব এফ এ কাপে গোল করার পর মেতেছিলেন সিআরসেভেন উদযাপনে। সেই সেলিব্রেশন নিয়ে সমালোচনা গড়িয়েছিলো আর্জেন্টিনাতেও।

মূলত, ম্যানইউর প্রাক মৌসুমের শেষ ম্যাচে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সবার। গেলো মৌসুমে বদলি হিসেবে রেড ডেভিলস জার্সিতে যে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন জাত চিনিয়েছিলেন সেখানেও।

স্পেনে জন্ম হলেও আলেহান্দ্রোর পৈত্রিক নিবাস আর্জেন্টিনায়। তাই উপেক্ষা করতে পারেননি শেকড়ের টান। স্পেনে অনূর্ধ্ব ১৮ বয়সভিত্তিক দলের পর গেলো বছর আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব ২২ দলেও খেলেছেন তিনি। চলতি বছরই ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। যদিও এখনও গায়ে জড়ানো হয়নি চিরচেনা আকাশী-নীল জার্সি। নামা হয়নি মেসির সতীর্থ হয়ে।

২০২০ পর্যন্ত স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের একাডেমিতে ছিলেন গারনাচো। এরপর পাড়ি জমান ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে। এক বছরের মাথায় ক্লাবটির বর্ষসেরা সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাবও নিজের করে নেন আলেহান্দ্রো। জানিয়ে দেন, মেসিই শেষ নয় আরও এক সুপারস্টার পেতে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবল।