বাংলাদেশের উন্নয়নে ডি-৮ দেশগুলোকে পাশে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

SHARE

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভালো করছে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও উৎপাদন, শিল্প, সেবা, কৃষি, রপ্তানি তথা জিডিপি প্রবৃদ্ধি সব দিক থেকে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে আরও ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য ডি-৮ সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। যার মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা, তথ্য বিনিময় ও সেবা সরবরাহের ক্ষেত্র আরও সহজ হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ডি-৮ এর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংলাপ ও এক্সপোর আয়োজনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুদিনের এ আয়োজনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের চেম্বারস অব কমার্সের সভাপতি, প্রতিনিধি দল ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ডি-৮-এর সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম, ডি-৮ সিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, উৎপাদনে এখন বাংলাদেশ বিশ্বের নতুন সম্ভাবনা। প্রতি বছর গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিও এ প্রবৃদ্ধিকে দমাতে পারেনি। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অতি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধান, শাক-সবজি, মাছ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে শীর্ষ দেশের তালিকায় এখন বাংলাদেশের নাম। এখানে ভোক্তা বেশি, চাহিদাও বেশি। তাই উৎপাদন এবং আমদানিও বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট সংকটে ডি-৮ সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অগ্রগতির অংশীদার হতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিকভাবে এখন যে সংকট শুরু হয়েছে তার একমাত্র সমাধান অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মহামারির মতো সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকটও বাংলাদেশ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক সংলাপ ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক বাণিজ্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করবে। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতার নানা দিক তুলে ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এবারের সংলাপে বাংলাদেশসহ অন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ভ্যালু চেইনের ছয়টি এবং ভ্যালু চেইন ইন্টিগ্রেশনের ১৩টি বৃহৎ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সাধারণ পরিষদে ছয়টি ক্ষেত্রের সম্ভাবনা, সম্ভাব্য রোডম্যাপ ও এর কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। যা দ্বিতীয় দিন ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল পর্যায়ে উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে এবং করণীয় ঠিক করা হবে।